বিনোদন ডেস্ক>>
ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া ‘সাদা-সাদা কালা-কালা’ গানের সিনেমা ‘হাওয়া’ এখনও মুক্তি পায়নি। আগামী ২৯ জুলাই মুক্তিকে সামনে রেখে প্রচারণার উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন সিনেমাটির পরিচালকসহ কলাকুশলীরা।
শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে জমকালো আয়োজনে টিম ‘হাওয়া’কে বরণ করে নেন ক্যাম্পাসের সিনেমাপ্রেমীরা।
টিম হাওয়া জানায়, বঙ্গোপসাগরের বুকে নির্মিত হওয়া চলচ্চিত্রটিতে রয়েছে রহস্য উন্মোচনের উত্তেজনা। চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি, দৃশ্যায়ন, চরিত্রগুলোর অভিব্যক্তি, মোহময় উপস্থাপনা বারবার দর্শকদের দেখার আগ্রহ জাগাবে।
সিনেমার নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘এ কালের রূপকথার গল্প হলো- হাওয়া। যে রূপকথার গল্প আমরা শুনে আসছি, হাওয়া তেমন নয়। এটি মাটির গল্প নয়, বরং পানির গল্প। গভীর সমুদ্রের গল্প। গভীর সমুদ্রের একদল মাঝির জীবনের রূপকথার গল্প।’
সিনেমাটি নিয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘এ রকম গল্প নিয়ে এর আগে, এ দেশে আর কোনো সিনেমা নির্মাণ হয়নি। হয়তো কেউ সাহসও করেননি। আমরা এত কষ্ট করতে পেরেছি সিনেমাকে ভালোবাসি সেই জন্য। দর্শকও ভালো সিনেমা দেখতে চান। আমার বিশ্বাস- যদি ভালো কিছু হয়, দর্শক এর মূল্য দেবেন।’
সিনেমার রহস্যময়ী তরুণী নাজিফা তুষি বলেন, ‘হাওয়া একটি মৌলিক সিনেমা। আমি এই সিনেমা নিয়ে খুবই এক্সাইটেড। আশা করি, আপনারা সবাই হলে গিয়ে সিনেমাটি উপভোগ করবেন।’
এর আগে মুক্তমঞ্চে দেখানো হয় সিনেমাটির ট্রেলার। এতে দেখা যায়- ট্রলারের পাটাতনে উৎসুক কয়েকটি মুখ। ওরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে এসেছে। প্রত্যেকের চেহারায় কৌতূহল, আতঙ্ক ও রহস্যের ছাপ। ট্রলারের ভেতরে হঠাৎ পাওয়া গেছে এক জীবন্ত নারীকে। টর্চ জ্বেলে চঞ্চল চৌধুরী মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কোন বোটেত্থে আইছো? সত্যি করে কও।’
মেয়েটি কোনো উত্তর দেয় না। চারপাশে রহস্যের জাল বিছিয়ে বসে থাকে নির্বিকার। এই তরুণীকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য। সে দেবী নাকি ভূত! তার আবির্ভাবের পর মাছ কমে গেছে সমুদ্রে, মাঝিদের মাঝে শুরু হয় কোন্দল।
ট্রলারের উত্তেজনা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়, যা থেকে ঘটে রক্তারক্তি। টিকে থাকার এ লড়াইয়ে কেউ বাঁচে, কেউ মরে। আর এ লড়াই তাদের কাছে নতুন নয়, পুরোনো। তাই তো একজনের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘এই দুনিয়ায় আমিও দুইবার মইরা গ্যাছিলাম। আমরা লগের গুলা মইরা ভূত হইয়া গ্যাছে। আমি শুধু বাঁইচা গ্যাছি।’
ট্রেইলারের শেষ দৃশ্যে ‘ভয় পাইছিস?’ সংলাপ এবং চান মাঝি চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর এক্সপ্রেশন ছবির রহস্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।
এ সিনেমায় সম্পূর্ণ নতুন রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল সবাই হয়ে উঠেছেন যেন রূপকথার একেকটি চরিত্র।সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান, জাহিন ফারুক আমিন এবং পরিচালক নিজেও।