আকাশ মারমা মংসিং>>>>
ঈদ মানেই আনন্দ ঈম মানের খুশি। সেই ঈদের ভ্রমন পিপাসুরাও হাতছানি দিয়ে অপেক্ষায় থাকেন পর্যটন নগরী পাহাড়ের কণ্যা বান্দরবান পথে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লীলাভূমি ও সবুজের অরণ্যের ভরা পাহাড়ের মেঘের খেলার দেখতে কে বা আসতে মন না চায়। সুযোগ পেলেই পর্যটকরা দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটন লীলাভূমিতে। এবার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিলাচল, মেঘলা, প্রান্তিলেক,নীলগিরি, শৈলপ্রপাতে সহ প্রত্যেক পর্যটন গুলোতে পর্যটকের আগমনের ভরপুর। ছোট হতে বড় ও কেউ পরিবার সহ নিয়ে ছুটে আসছেন বান্দরবানে। ঈদের আনন্দের মেতে উঠতে পাড়ি জমাচ্ছেন এক প্রান্ত অন্য প্রান্তে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননা পর্যটকরা। সকাল থেকে দর্শনার্থী ও পর্যটকের আগমন ঘটতে থাকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে। বেলা যত বাড়তে থাকে ততই ভিড় বাড়তে থাকে নিলাচল, মেঘলা, শৈল প্রপাত, প্রান্তিলেক ও চিম্বুকসহ নানা পর্যটনের। পাশাপাশি পাহাড়ের জনপদের জনগোষ্ঠিরাও পর্যটকদের আগমনের স্বাগতম জানান।
বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনের টিকেট কাউন্টার হতে দেওয়া তথ্য মতে, ঈদের এবার পর্যটকের আগমন স্বাভাবিক রয়েছে। মেঘলায় পর্যটনের সারাদিনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৭০০ টি, নিলাচলে কেন্দ্রে ১হাজার ৭ শত টি, প্রান্তিলেকের কেন্দ্রে ৪ শত টি। অন্যদিকে পর্যটকদের যেন কোন আপত্তিকর দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য প্রত্যেক পর্যটনের ট্যুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সজিব দে অপু বলেন, ঈদের ছুটিতে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন ১২ জনের সদস্য। তার কাছে বান্দরবান বলতে শুধু পাহাড় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর।
নারায়নগঞ্জ থেমে বেড়াতে আসা মো. সুমন বলেন, বান্দরবান নামে যেমন শুনতে অদ্ভুদ রয়েছে ঠিক তেমনি প্রাকৃতিক লীলাময় যেন সমারোহ। ৭ জনের টিম নিয়ে দুইদিনের জন্য বেড়াতে এসেছেন বান্দরবানের।
নিলাচলে টিকেট কাউন্টার আদীব বড়ুয়া জানিয়েছে, এ ঈদের স্বাভাবিক ভাবে পর্যটকের সমাগন হয়েছে। এবার নিলাচলে সারাদিনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১হাজার ৫শত টি মতন। আশা করছেন আজকের চেয়ে আগামিকাল আরো পর্যটকের আগমন ঘটবে।
মেঘলা টিকিট কাউন্টার সুকুমার তংচঙ্গ্যা জানিয়েছেন, সারাদিনের পর্যটকের আগমনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৭শট টি। গতবার চেয়ে এবার তেমন পর্যটকের কম আগমন হয়েছে।
অন্যদিকে, পর্যটকদের জন্য চান্দের গাড়ি যেন মুহুর্ত থেমে নাই এ প্রান্ত হতে ঐ প্রান্তে। পর্যটকদের আনন্দ মাতোয়ারে ভাসিয়ে দিতে মেঘলা হতে নীলাচল কিংবা নীলাচল হতে চিম্বুক দিকে ছুটা ছুটি। চান্দের গাড়িটি খোলামেলা হওয়াতেই পর্যটকরা দাঁড়িয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন। আবার কেউ স্ব- পরিবার নিয়ে কেউ বা বন্ধু- বান্ধব নিয়ে চান্দের গাড়ি করে পাড়ি দিচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে।
বান্দরবান জীপ ও মাইক্রোবাস সমিতির টিকেট কাউন্টার মো. কামাল জানান, আজ সারাদিনের পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে চান্দের গাড়ি ছেড়েছেন প্রায় ৬০ টি। পর্যটকদের জন্য সেবা দিতে যথেষ্ট পরিমান চান্দের গাড়ি মজুত রয়েছে। তবে আগামিকাল আরো বেশী করে ছাড়ার আশা করছেন সমিতি সংশ্লিষ্টদের।
বান্দরবান ট্যুরিষ্ট পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, এবার ঈদের পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেক পর্যটনের সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন রয়েছে। যাতে কোন আপত্তিকর দুর্ঘটনা না ঘটে।