অনলাইন ডেস্ক>>>
একের পর এক কেমিকেলপূর্ণ কনটেইনারে বিস্ফোরণ ও পানি স্বল্পতাসহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
এ কারণে ডিপোর ভেতরে সব জায়গায় প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগুনের ভেতরে কাজ করতে ঢাকা থেকে বিস্ফোরণস্থলে আসছে ‘হাজমত টিম’।
রোববার সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. মাইন উদ্দিন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, যেহেতু দীর্ঘক্ষণ ধরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না সে কারণে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত হাজমত টিম ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। এই টিম বিদেশে প্রশিক্ষিত এবং তারা আগুনের মধ্যেও কাজ করতে পারে। তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই এখানে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের এখনো ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। মোটামুটি আজ সকাল ৭টার দিকে আগুন আমাদের কন্ট্রোলে আনতে পেরেছি তবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নির্বাপণ করতে সময় লাগবে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। কনটেইনারের কাছাকাছি যেয়ে আগুন নেভানোও যাচ্ছে না। দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে। শুরুতে কাছাকাছি গিয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল বাহিনীর ১০ জনের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডিপোতে এসময় প্রায় ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল। সেখানে থাকা দাহ্য পদার্থ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। শনিবার দিনগত রাতে বাতাসের কারণে আগুন বাড়তে থাকে। ডিপো এলাকায় রয়েছে পানি স্বল্পতা।
গতকাল শনিবার রাতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীসহ অন্তত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-সংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় ৭০ কানি জায়গার ওপর কন্টেইনার ডিপোটি অবস্থিত।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে। কিছুক্ষণ পরপর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। রোববার সকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে।