অনলাইন ডেস্ক>>
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। এরই মধ্যে নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে আহতরা রক্তের অভাবে নয়, তাদের মৃত্যু হবে ফ্লুইডের অভাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় অবস্থিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ওই স্ট্যাটাসে ব্লাড ট্রান্সফিউশন ডা. আশরাফুল হক বলেন-
১. রক্তের অভাবে নয়, মৃত্যু হবে পর্যাপ্ত ফ্লুইডের অভাবে। কাজেই রক্তদাতারা অপেক্ষা করাই ভালো হাসপাতালে ভিড় না করে।
২. পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির ভেইন পাওয়া খুবই দুরূহ। কাজেই এক্সপার্ট ছাড়া অন্য অন্য কারো সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভিড় না করাই উচিত।
৩. প্রশিক্ষিত নার্সিং স্টাফ প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। আশপাশের জেলা থেকে হলেও বেশি নার্সিং স্টাফ আনা হয়তো দরকার।
গতকাল শনিবার রাতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীসহ অন্তত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-সংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় ৭০ কানি জায়গার ওপর কন্টেইনার ডিপোটি অবস্থিত।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে। কিছুক্ষণ পরপর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। রোববার সকাল ৭টা থেকে সাড় ৮টা পর্যন্ত সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে।
কন্টেইনার ডিপোর বাইরে অবস্থান করছেন ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। লাশ উদ্ধার হলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। সবশেষ আজ সকাল ৮টার দিকে দুটি লাশ উদ্ধার করা ফায়ার সার্ভিস।