অনলাইন ডেস্ক>>>
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ১৯ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দেড়শতাধিক।
শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে চার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এর প্রভাব পড়েছে।
আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীর মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম মনিরুজ্জামান (৩২)। রোববার (৫ জুন) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ শনাক্ত তার মামা মীর হোসেন।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার শামসুল হকের ছেলে।
মীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে ভাগনের লাশ শনাক্ত করেছি। মনিরুজ্জামান আমার বড় বোনের ছোট ছেলে।”
এদিকে, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছেন।