অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২১ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তবুও আগুন নেভাতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে ১৫টি ইউনিটের শতাধিক দমকল কর্মী।
শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত দুইটা নাগাদ এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন।
তিনি বলেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল বলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া উৎসুক জনতার ভিড়ে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। বিষ্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ২১ জন সদস্য এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় জনকে সিএমএইচ ও বাকি ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে এখন ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত আড়াইটা পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মী ছাড়া রয়েছেন আশপাশের মানুষ, নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরাও।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে এসে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। বাতিল করা হয়েছে সকল চিকিৎসকের ছুটি।
নিহতদের একজনের নাম মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম। তিনি বাঁশখালীর ছনুয়ার ফরিদুল আলমের ছেলে। বিএম কনটেইনার ডিপোতে তিনি কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহত মুমিনের ভাই মো. ফয়সাল বলেন, আমার ভাই মমিনুল বিষ্ফোরণে মারা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, আগুন লাগার পর বেশ কয়েকটি কনটেইনারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কনটেইনারে রাসায়নিক থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষ্ফোরণে ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। ওইসব এলাকার সকল গ্লাস ভেঙে যায়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণে তাদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও অন্তত ৯ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।