অনলাইন ডেস্ক>>
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার শতাধিক। নিহতদের মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী বলে জানা গেছে।
রোববার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
১০ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। তবে কোনোমতেই আগুনের তীব্রতা কমছে না। অনেকটা অসহায় পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নেভাতে আশপাশের জেলা থেকে নতুন নতুন ইউনিট যোগ দিচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডই ছিল মূলত এসব কনটেইনারে। যা অ্যাভিয়েশন শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ চাপে এই রাসায়নিক বোতলজাত করা হয়ে থাকে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডিপোর কর্মকর্তাদের বরাতে আমরা জানতে পেরেছি, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। তবে প্রথমে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ অবহিত করেনি। এমন রাসায়নিকের আগুন নেভাতে হয় ফগ সিস্টেমে। আমরা এখন এই পদ্ধতিতে এবং ফোমের মাধ্যমে এখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।’
শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে আগুন লাগে। সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণে তাদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও অন্তত ৯ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের ২১ সদস্য আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।