শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা: রাজনীতিতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে: ড. হামিদুর রহমান আজাদ থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চিংমা খেয়াং হত্যাকান্ডের সঠিক বিচারের দাবীতে বান্দরবানে বিক্ষোভ বান্দরবানে পাহাড় থেকে খেয়াং নারীর লাশ উদ্ধার নাইক্ষ্যংছড়ি’র ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবক আহত।
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

রামুতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

ওসমান গনি, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩৪২৮ জন নিউজটি পড়েছেন

কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।

উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের ডেইঙ্গা পাড়া এলাকায় অবাধে বালু উত্তোলন চললেও দেখার কেউ নেই। দিন রাত ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও নির্মিত বেঁড়িবাধ হুমকির মুখে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকমারকূল ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রভাবশালী মহলের আদর মিয়া, মোহাম্মদ ও মারছলিমসহ একাধিক সিন্ডিকেটের নেতারা। বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জেল জরিমান করলেও অবাধে বালু উত্তোলন করে চলছে তারা। দিনরাত ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও নির্মিত বেঁড়িবাধ এখন হুমকির মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যন্ত্রের মাধ্যমে তীর কেটে চলমান এ উত্তোলনে ভাঙনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে নদীর দুই পাড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অবৈধ এ বালি উত্তোলন বন্ধ না হলে ভাঙনের শিকার হবে উপজেলার মিঠাছড়ি ও চাকমারকুলের নদীর দু’পাশের ফসলি জমিসহ বহু বসতঘর। ফলে হুমকিতে পড়েছে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। ভাঙনের শঙ্কায় উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছে বাঁকখালী নদীর দুই পাড়ের মানুষ। প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সাধারণ মানুষ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুুখীন হবে।

নদীসংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বসতভিটা ও ফসলি জমি।

উমখালী গ্রামের বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, নদীই আমাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি। বাঁকখালী নদীতে বর্তমানে প্রায় ৬০ ড্রেজার মেশিন বালি উত্তোলনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকেই বালি উত্তোলনকারীর কাছে এসব মেশিন ভাড়া দিচ্ছেন।

বালি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা কিছুই জানিনা, নুরু চেয়ারম্যানের নির্দেশে বালি উত্তোলন করছি। কিছু বলার থাকলে তার সাথে যোগাযোগ করেন। নুরু চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর তীরবর্তী বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। মেশিনের শব্দে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক শব্দদূষণ। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে যাবে। অবৈধ এ বালি উত্তোলন বন্ধে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। অথচ পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি ও নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো টিকিয়ে রাখতে হলে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন, আমি একাধিক বার অভিযান চালিয়ে ড্রেজারও জব্দ করে জেল জরিমানা করেছি। যারা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ও নির্মিত বেঁড়িবাধের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!