নিজস্ব প্রতিবেদন:বান্দরবান লামায় অভিনব কায়দায় গরু চুরি করে মাইক্রোবাসে করে নেয়ার সময় ইয়াংছায় জনতার প্রতিরোধে।সেনা-পুলিশের হস্তক্ষেপে গন পিটুনি থেকে রক্ষা পায় চার গরু চোর।চার গরু চোর এখন সেনা-পুলিশের হেফাজতে।
সোমবার(২৯ মার্চ)লামা উপজেলার ইয়াংছায় একটি নাম্বার বিহীন মাইক্রোবাস আটক করেন জনতা।বেপরোয়াভাবে গাড়িটি ইয়াংছা বাজার ক্রস করে চেক পোষ্টে সেনা-পুলিশ কর্তৃক বাধা প্রাপ্ত হয়।গাড়ির ভেতর লাল কম্বল জড়ানো একটি ধামড়া গরু যার আনুমানিক মুল্য ৬০ হাজার টাকা হবে।
চালকের নাম সেনাম। তার ভাষ্যমতে মাইক্রোবাসের মালিক জনৈক নাসির। বাড়ি চকরিয়া চুয়ারফাঁড়ি।অন্য তিন জনের নাম,তৌহিদ(২৮),নুরু(২২),সাইদুল(২২)এরা সবাই চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
গরুর মালিক বধুঝিরির বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ, পিতা মৃত হামিদ আলম। সে একটি বাগানে কাজে ছিল। বধুঝিরি রাস্তার পাশ থেকে গরুটি চুরি হয়।এ চক্রটি খুবই ভয়ঙ্কর।তারা এভাবে আরো অনেক গরু-ছাগল চুরি করেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।এই কায়দায় চক্রটি মানুষকেও অপহরণ করতে পারে! বিশেষ করে নারী শিশুরা তাদের শিকারে পরিনত হতে পারে।এদের ব্যাপারে অনুসন্ধানপূর্বক আইনগত কঠোর ব্যাবস্থা নেয়ার দাবী জানান স্থানীয়রা।
এদিকে তৌহিদ নামের যুবকটি এবিষয়ে জড়িত নয় বলে দাবী করে জানান,সে বধুঝিরি থেকে যাত্রী হিসেবে গাড়িতে উঠে।সে আজ তিনটায় টিভিএস মোটর সাইকেলে করে আলীকদম রেপাড়পাড়ার তার এক ভাইয়ের শশুর বাড়িতে যায়।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারেন সেখানে মোটর বাইকটি রেখে লাকড়িবাহী একটি জীপে চড়ে বধুঝিরিতে নেমে যায়।এর কিছুক্ষন পর একটি মাইক্রো থামিয়ে চকরিয়া যাওয়ার জন্য উঠে। প্রায় এক কিলোমিটার সামনে আসলে ইয়াংছা ভেইলী ব্রীজের উপর গাড়িটিকে জনতা প্রতিরোধ করেন।
তৌহিদ জানায় সে গাড়ির কাউকে ছিনেন না। গাড়ির পেছনে লাল কম্বল জড়ানো কিছু একটা রয়েছে সে খেয়াল করেনি।জনতা রোষাণলে পড়লে তখনই সে বিষয়টি বুঝতে পারেন। হত বিহ্বল তৌহিদ ততক্ষনে অন্যদের সাথে গন পিটুনির শিকার হয়।
ধৃত নুরু জানান,সাদা জামা লুঙ্গি পরা দাড়িওয়ালা একজন চালকের সাথে দেড় হাজার টাকা ভাড়া চুক্তি করে গরুটি তোলা হয়। এর কিছুক্ষন পর জনতার প্রতিরোধকালে সে পালিয়ে যায়। নুরু জানান,তার বাবা নেই। সে আগে দোহাজারী রাজ মহল ক্লাবে চাকুরী করতো।
ধৃত সাইদুল জানান,সে একজন কাঁকড়া ব্যবসায়ী। সে তার কাঁকড়া ব্যবসার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সোমবার সকালে আলীকদমে যায়। সেখানে তার এক খালতো ভাই নাসিরের বাসায় দুপুরে ভাত খায়। এর পর সে মাইক্রোতে চড়ে।