থানচি( বান্দরবান)সংবাদদাতাঃবান্দরবানের থানচি-বলিপাড়া ইউনিয়নের শিলাঝিড়ি নামক ঝিড়িতে অভিযান চালিয়ে পাথর ত্তোলণ বন্ধ করেন। পাথর উত্তোলণের কারনে বিভিন্ন প্রজাতির শামুক, ছোট মাছ, ছোট চিংড়ি ও কাকড়াগুলো হারিয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শিলাঝিড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও সম্পদ হারিয়ে হাহাকার।
শিলাঝিড়ি ইতিমধ্যে শুকিয়ে তিব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে
পড়েছে এলাকার কৃষক শ্রেনির সাধারণ মানুষ।
কিছু সংখ্যক পার্শ্ববর্তী লামা,চকরিয়া ও সাতকানিয়া এলাকার অসাধু ব্যবসায়ীসহ এই উপজেলায় স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী চক্র উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে কোন প্রকার বাধা ছাড়াই ঝিড়ি হতে পাথর উত্তোলণ করে মজুত থেকে মেশিনে ভাঙ্গিয়ে দিনরাত পাচার করেই চলেছে।
স্থানীয়রা পাথর উত্তোলণের বাধা দিলেও প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী চক্রের হুমকিতে পাথর উত্তোলণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে শিলাঝিড়ি উপর ভিত্তি করে ক্ষেত খামারীরাও পানি অভাবে চাষাবাদ করতে পারছে না। যার দরুন কৃষক শ্রেনি সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা উপর চরম দুর্বিসহ হয়ে উঠছে।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয়দের তথ্য ভিত্তিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নেতৃত্বে থানচি বলিপাড়া ইউনিয়নের হয়তং পাড়া ঝিড়ির ঘাট এলাকায় শিলাঝিড়ি নামক ঝিড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে ঝিড়িতে পাথর উত্তোলণরত লেবাররা সবাই পালিয়ে জঙ্গলে চলে যায়। বলিপাড়া ৯ কিঃমিঃ/থানচি ১১ কিঃমিঃ সড়ক হতে প্রায় ১৫০ গজ পূর্বে শিলাঝিড়িতে পাচারের উদ্দেশ্যে পাথর মজুত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাহাকেও পাওয়া না যাওয়াই পাথর উত্তোলণকারী মালিক কে বা কারা তা জানা যায়নি।
এক পর্য্যায়ে অত্র এলাকার ৩৬১নং থাইক্ষ্যং মৌজার হেডম্যান মংপ্রু মারমাকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয়। তারপর শিলাঝিড়ি পাথর উত্তোলণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় একটি বাড়ী একটি খামার উপজেলা ব্রাঞ্চ ম্যানাজার রনি দাশ, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কার্যালয়ে টেকনিশিয়ান রূপক মিত্র, উপজেলা আনসার বাহিনী প্রতিনিধী, সংবাদকর্মী ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আতাউল গনি ওসমানী বলেন, এই উপজেলায় প্রাকৃতিসৌন্দযর্য ধ্বংস করে প্রাকৃতিক সম্পদ পাথর উত্তোলণ করতে দেয়া হবে না। আজ হতে শিলাঝিড়িতে পাথর উত্তোলণ বন্ধ করা হল। ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া না যাওয়াই পাথার উত্তোলণকারী কে বা কারা তা জানা সম্ভব হয়নি।পরবর্তীতে জানা গেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলার সবগুলো অবৈধ্য ভাবে পাথর উত্তোলণ বন্ধ করা হবে। তিনি আরো বলেন, যেখানে পাথর উত্তোলণের সংবাদ পাওয়া যাবে সেখানে পাথর উত্তোলণ বন্ধ করে দেয়া হবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।