বান্দরবান: পার্বত্য জেলা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কিছু অংশ ও কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পুরো অংশ নিয়ে অবস্থিত নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী-গর্জনিয়া সড়কটি।
বর্ষার শুরুতেই আগাম বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সড়কটি যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিনত হয়েছে।দুইটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই গ্রামীণ সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে প্রত্যন্তএলাকার দুই ইউনিয়ন বাইশারী ও গর্জনিয়ার লোকজন উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়ত করে থাকেন।
তাছাড়া আরো দুইটি ইউনিয়ন ঈদগড় ও কচ্ছপিয়ার লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। কিন্ত সড়কটির করুন দশায় দুর্ভোগের আর শেষ নাই। একবার কোন রকম টমটম গাড়ী এবং সিএনজি করে যাতায়াত করে থাকলে এক সপ্তাহ আর গায়ের ব্যাথা যায়না। আর যদি বৃদ্ধ ও শিশু হয় তাহলে ব্যাথার জন্য ডাক্তার দেখানো ছাড়া আর বিকল্প পথ নাই।
উক্ত সড়ক নিয়ে স্থানীয় লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও গণমাধ্যমে বেশ করেকবার প্রতিবেদন ছাপনো হয়েছে। তাছাড়া সড়ক মেরামতের জন্য স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন ও করেছেন। তার পর ও যেই লাউ সেই কদু। কে শুনে কার কথা ?
উক্ত সড়ক নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নুরুল ইসলাম নামের এক ছাত্র বিভিন্ন পত্রিকার চিঠি পত্রের কলামে বেশ কয়েকবার প্রতিবেদন দিয়েছেন। তার পর ও করুন দশার সুরাহা হয়নি।
সরজমিন দেখা যায়, বাইশারী-গর্জনিয়া সড়কটি ৪ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন উক্ত সড়ক দিয়ে জরুরি কাজ ও বাজার সদাই এবং উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য কয়েক হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। সড়কের করুন দশার কারনে কেউ পায়ে হেটে আবার কেউ মালামাল কাঁধে বহন করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে আসতে দুঃখের সীমা থাকেনা। তাছাড়া রাস্তা নষ্ট হওয়ার কারনে বাজারজাত করতে না পারায় অনেক পন্য পচন ধরে যায় বলে জানালেন কৃষক মুহাম্মদ আলী, মোঃ ইসহাক সহ অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তরুন কলামিস্ট মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, বর্ষা শুরুতেই তাদের কষ্টের সীমা থাকেনা। একদিকে পানি অন্যদিকে সড়কের করুন দশার চিত্র। দীর্ঘ ১৩ বছরেও আনুমানিক ১০ কিঃ মিঃ সড়কটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। যার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ও বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সহ রোগীদের একই দশায় পরিনত হয়েছে। তিনি সড়কটি দ্রুত সংস্কার চান ।
তিনি আরো জানান বর্ষার কারনে ভেংগে যাওয়া খান খন্দক স্থানীয় লোকজন নিয়ে সেচ্ছাশ্রমে বেশ কয়েক দফা মেরামত করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার জানান বর্ষায় ভেংগে যাওয়া রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থান পরিষদের পক্ষ থেকে মেরামত করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, সড়কটির ব্যাপারে মাননীয় সংসদ (এমপি) সাইমুম সরোয়ার কমল মহোদয় নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে ২ কিঃমিঃ সড়ক কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। বাকী কাজের টেন্ডার এবং ওয়ার্ক অর্ডার ও হয়েছে। বর্ষাজনিত কারনে আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে ইনশাআল্লাহ। এলাকাবাসী বাইশারী–গর্জনিয়া সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানান।