বান্দরবান: থানচি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছাংদাক পাড়া বাসিন্দা ও তরুণ সমাজ সেবক নুমংপ্রু মারমা টাইগার,এলাকার উন্নয়নের লক্ষে মানবিক সেবার কাজে এগিয়ে আসার খবর জানা গেছে।
এ বছর শুরুতেই থানচি সদর বাজার হতে ছাংদাক পাড়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পাড়ার যোগাযোগের একমাত্র রাস্তার উপর কয়েক বছরে নির্মিত কয়েকটি কালভার্টের মধ্যখানে ফাটল ও গর্ত সৃষ্টি হয়। যার ফলে ঐ এলাকার শতশত সাধারণ মানুষগুলো উপজেলা সদর একমাত্র বাজারের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে দুভোর্গের স্বিকার হন।
জনগণের এই দুভোর্গ দেখে স্থানীয় ছাংদাক পাড়া বাসিন্দা ও তরুণ সমাজ সেবক নুমং প্রু মারমা সমাজ উন্নয়নের লক্ষে এগিয়ে আসেন। তিনি নিজের উদ্যোগে নিঃস্বার্থে মানবতার সেবায় এগিয়ে এলাকার উন্নয়নের লক্ষে একটি কালভাটের্র মধ্যখানের গর্তটি ব্যক্তিগত অর্থের সংস্কার করে দেন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে তার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,কয়েক মাস ধরে সাধারণ মানুষের বিশেষ করে শিশু, নারী, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষগুলো এই রাস্তা উপর চলাচলের মারাত্মক দুভোর্গের ভোগে এসেছিল। জনপ্রতিনিধি না হয়েও আমি এলাকার মানুষের এই দুভোর্গ দেখে থাকতে পারিনি। তাই আমি মানবিক চিন্তা ভাবনা নিয়ে করোনার মধ্যে নিজেই এই পাড়ার পার্শ্ববর্তী কালভার্টের মধ্যখানে গর্তটি সংস্কারের কাজ করে দিয়েছি। আজ থেকে দিনে কি রাতে সকল মানুষ এই রাস্তায় নির্ভয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।আমি জনপ্রতিনিধি না হয়েও এই সামান্য সেবার কাজ করতে পেরেছি এইটাই আমার স্বার্থকতা। এলাকার বিত্তবান সকল মানুষের প্রতি এলাকার উন্নয়নের লক্ষে আমার মতো এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
কথা হয় ঐ রাস্তায় আসা-যাওয়া করার পাশ্ববতর্ী শাজান পাড়া বাসিন্দা লালথাং বম সাথে, তিনি বলেন, ছাংদাক পাড়া সন্নিকটে কালভার্ট মধ্যখানে গর্তটি সংস্কার করার কারনে গত ২/৩ দিন ধরে গাড়ী চলতে দেয়া হচ্ছে না। আজকে থেকে গাড়ীসহ যাবতীয় যাহবাহন চলাচল করা শুরু করছে।
এতদিন ঐ কালভার্টের মধ্যখানের গর্ত যাওয়াই ভারী যানবাহন সহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুভোর্গে ভোগতে হয়েছিল। নুমং প্রু মারমা তার ব্যক্তিগত উদ্যোগের এই কালভার্টটে গর্ত সংস্কার করে দেয়ায় এখন গাড়ীসহ সাধারণ মানুষের চলাচল করার সুবিধা হল। তিনি স্থানীয়জনপ্রতিনিধিদেরকেও এভাবে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান।