রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের ৬মাস আগে পুরুষাঙ্গ কাটা সে আলোচিত মনির আহমদ (৪৫) মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪ টা থেকে নিখোঁজ । সে এ ইউনিয়নের ডাকভাঙ্গা গ্রামের মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে। পেশায় একজন কৃষক। তার নিখোঁজ নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তার স্ত্রী নুরতাজ বেগম জানান,তার স্বামী ভোরে টয়লেট ও অজু করতে গেলে টয়লেটের আগে বা পথে পায়খানা দেখে সন্দেহ হলে আমার স্বামী মনির আহমদকে টয়লেটে খুজঁতে যাই। না পেয়ে এদিক সেদিক দেখতে গিয়ে পথে ১০ গজ ব্যবধানে আমার স্বামীর ব্যবহৃত দুইটি জুতা দুই স্থানে দেখে সন্দেহ হলে সাথে সাথে নামাজ পড়তে যাওয়া আমার বড় ছেলেকে ফোনে তার বাবা মসজিদে গেছে কিনা জানতে চায়। সেখানে যায় নাই শুনে সাথে সাথে বাড়িতে অন্য ছেলে মেয়েদের ডেকে দিই এবং আমার বাপের বাড়িতে খবর দিই। সেই থেকে পার্শবর্তী পাহাড় সহ বিভিন্ন এলাকায় খুজাঁখুজি করে না পেয়ে থানায় অবগত করি।
অপরদিকে এলাকাবাসীদের দাবি সে (মনির আহমদ) এলাকার শান্ত-শিষ্ট হিসেবে পরিচিত। তার সাথে কারো শত্রুতা নাই। তার নিখোঁজের বিষয়টি রহস্যজনক কিনা তা নিয়ে এলাকায় মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মনিরের বড় মেয়ে সুমি আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা তিন ভাই তিন বোন বাবার শ্রমের উপর পড়ালেখা ও পরিবারের ভরনপোষন নির্ভর করে। তাই এই অবস্থায় আমাদের বাবাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
সকাল ১০টা থেকে গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশ তিন ধাপে পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যা ৬টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল খায়ের। তার সাথে ছিলেন, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আনিছুর রহমান, এস আই হুমায়ন, এস আই হাবিবুর রহমান।
এসময় ওসি আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি নিখোঁজ কিংবা অপহরণ তা বলা যাচ্ছে না। আমরা মনির আহমদকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং এ চেষ্টা অব্যহত থাকবে।
উল্লেখ্য গত ২০১৯ইং সালের ১৮ নভেম্বর’ মনির আহমদ নিখোঁজ হলে তাকে পার্শবর্তী পাহাড়ে গোপনাঙ্গ কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সেই বিষয়ে একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান(২২), বাদশা মিয়ার ছেলে নুরুল আলম (৪০) কে আসামী করে রামু থানায় মামলা করা হয়।