স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে জিয়া পরিষদ গঠনের আবশ্যকতা ৫ ই আগস্টের পর থেকেই পরিলক্ষীত হচ্ছে, এবং অদ্যবধি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, জিয়া পরিষদ এর কোন কমিটি, জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করে নাই। কিন্তু বর্তমানে একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্বপ্রনোদিত হয়ে অনুমোদনহীন ভুয়া কিমিটি নিয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ অনলাইন ভিওিক কিছু জার্নালে।
গোপন সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক জিয়া পরিষদ সদস্য পরিচয়ে এই ভুয়া কমিটি ইতোঃমধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার পায়তারা করছে, এবং এই অভিযোগ ও পাওয়া যায় এই ভুয়া কমিটির কিছু সদস্য নিজেদের স্বার্থ হাছিল করতে দলের নাম ভাঙ্গাচ্ছে, যা দলীয় ইমেজের জন্য একটি অশনি সংকেত। আরও জানা যায় সম্প্রতি এই ভুয়া কমিটির একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় যা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের আরেকটি অনুনোমদিত ভুয়া কমিটি সিবিএ এর সভাপতি জনাব ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ (অবসরপ্রাপ্ত) সভাপতিত্ব করেন।
নুতন কমিটি গঠনে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সবার সর্বসম্মতিক্রমে উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাহিদ হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ এবং সহকারী মহাব্যবস্থাক মোঃ জাহেদকে সভাপতি ও অননুমোদিত সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিরাজ হোসনকে এই ভূয়া জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক জিয়া পরিষদ প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমিটি নাম দিয়ে ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে ১৫-১৬ জনের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আদর্শে গঠিত স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদসহ বিভিন্ন ফ্যাসিবাদী সংগঠনের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এই ভূয়া কমিটির ৭ জনই হত্যা মামলার আসামী ও কোর্ট থেকে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন বলে জানা যায়।নাম প্রকাশ না করা শর্তে, তৃনমুলের এক নেতা বলেন, নেতারা মুখে বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত আর আওয়ামীলীগের কোন নেতা কর্মীর বিএনপির রাজনীতিতে জায়গা হবে না।
বাস্তবে সেসব নেতারাই স্বীয় স্বার্থে ও আর্থিক বিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে নিচ্ছেন। আজ সুদিনে বিএনপির নেতার অভাব নেই। যারা আওয়ামীলীগের সময় সুবিধা নিয়েছেন, তারাও নিজেদের বিএনপির সাবেক নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। দুদির্নে এদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নেই। এভাবে চলতে থাকলে ত্যাগী নেতা কর্মীরা একদিন নিজেদেরকে দল থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, জিয়া পরিষদ এর কোন কমিটি, জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করে নাই। তাই কৃষি ব্যাংকের কেউ যদি জিয়া পরিষদ এর নাম ভাংগিয়ে কোন কার্যক্রম চালায় তা অবৈধ হবে এবং তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে হুশিয়ারী পাওয়া যায় কৃষি ব্যাংকের প্রকৃত জাতীয়তাবাদ আদর্শের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয় এই ভূয়া কমিটির ব্যাপারে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করা হয়েছে, উনারা এ বিষয়ে শীঘ্রই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।