স্টাফ রিপোর্টারঃ দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কারাবাস শেষে জামিনে মুক্ত হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন আজ জাতির শ্রদ্ধেয় নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর জিয়া উদ্যানে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা, যার মধ্যে ছিলেন তাঁতীদল কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, নীলফামারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক বাবুসহ বহু নেতাকর্মী।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও মামলার পটভূমি
শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের বিরুদ্ধে বিগত কয়েক বছরে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। বিএনপি সূত্র মতে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ছিল মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২০২৪ সালে ঢাকাসহ নীলফামারীতে বিএনপির আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস কারাবন্দি থাকার পর চলতি বছরের ৮ মে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে প্রত্যয়
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অটুট আছি। এই দেশের গণতন্ত্র ফিরে না আসা পর্যন্ত রাজপথে আমার লড়াই চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত, আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এখনই সময়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”
নেতাদের বক্তব্য ও রাজনৈতিক বার্তা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপি নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ ও বিরোধী কণ্ঠরোধের নীতিতে চলেছে। তাঁরা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের মুক্তি শুধু একজন নেতার মুক্তি নয়, এটি আন্দোলন-সংগ্রামে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
রাজনৈতিক পরিচিতি ও অবদান
ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন একজন প্রকৌশলী হলেও রাজনীতিতে তার ভূমিকা দীর্ঘদিনের। তিনি ১৯৯৬ সালে নীলফামারী-১ ( ডোমার-ডিমলা ) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেন।
প্রযুক্তিনির্ভর রাজনীতি ও প্রফেশনাল সংগঠনগুলোর মধ্যে তিনি অন্যতম পরিচিত মুখ। তিনি এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর মহাসচিব হিসেবে বিএনপির নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি অবদান রেখেছেন।
রাজনৈতিক সংগ্রামে ফেরত আসা ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের এ উদ্যোগকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিএনপির আগামী আন্দোলনে গতি আনার সম্ভাবনাময় ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তার প্রত্যাবর্তন দলীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
আরো পড়ুন→আবুজর গিফারী কলেজের সভাপতি নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন