নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্গম এলাকায় বসবাসরত দুস্থ অসহায় জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য শষ্য বিতরণের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবান জেলায় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং এর নামে বরাদ্দকৃত ৫৫ মেঃ টন খাদ্য শষ্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত দুস্থ জনসাধারণের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
শনিবার (২৬শে এপ্রিল) সকালে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং মার্ম স্ব শরীরে দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বরাদ্দকৃত অনুদান সমূহ তাদের হাতে তুলে দেন। বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেইছা থলি পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা নিকা তঞ্চঙ্গ্যা’র বাড়িতে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং মার্মা উপস্থিত হয়ে অনুদানের নগদ অর্থ তুলে দেন।
পরে কুহালং ইউনিয়নের বটতলী-বাঘমারা বৌদ্ধ বিহারে মাহাসঙ্ঘরাজ অধিষ্ঠানানুষ্ঠানের অনুদানের নগদ অর্থ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত সমা মহাথেরো হাতে তুলে দেন।এসময় বিহারে মাহাসঙ্ঘরাজ অধিষ্ঠ অনুষ্ঠানের জন্য নগদ অর্থ অনুদান প্রদান করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ম্যা ম্যা নু।
বিকেলে আঞ্চলিক পরিষদের অনুদানের বরাদ্দের অর্থ ডলুপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা পুশৈ থোয়াই এর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য অনুদানের নগদ অর্থ তার স্ত্রী প্র সাং চিং এর হাতে তুলে দেন এবং নাছালং পাড়া বৌদ্ধ বিহারে জল ছাদ মেরামতের জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করেন আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং।
এ বিষয়ে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং বলেন পার্বত্য অঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ হতে আমার অনুকুলে ৫৫ মেঃটন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ পেয়েছি এবং আমি নিজে সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে এসকল অনুদান প্রদান করছি। উপকার ভোগী’ রা আঞ্চলিক পরিষদে গিয়ে এ সকল অনুদান গ্রহণ করতো তাহলে দেড় দুই হাজার টাকা খরচ হতো এ কারনে আমরা নিজেরাই অনুদান অর্থ তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের উদ্দ্যোগ নিয়েছি। যার প্রেক্ষিতে অর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায় ক্রমে আরও ২২ টি প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে মোট ৫৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি। এ সকল অনুদানের টাকা যদি সুবিধাভোগীরা নিজেদের আত্ম উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করে তাহলে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি আঞ্চলিক পরিষদের এ ধরনের সুবিধা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই আঞ্চলিক পরিষদের এ সকল উন্নয়ন প্রকল্পের অনুদান জেলার দুস্থ অসহায় জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নের কাজে আসুক।
আরো পড়ুন→বাঁধের পানিতে গোসলে নেমে দুই মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু