নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, চাকরবাকর ও ক্যান্টনমেন্ট দখল করবে বলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাব হল রুমে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা মোঃ আবুল কালাম, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন, নাগরিক পরিষদ বান্দরবান পৌর শাখার সভাপতি শামসুল হক শামু, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় কাজী মোঃ মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর দেশ প্রেম, দেশের প্রতি অবদান, তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর অবদান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরে বলেন, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনীর গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম। ৫ আগষ্টের পরে আমরা বাকস্বাধীনতা পেয়ে অনেকটাই বেহিসাবি হয়ে পড়েছি। মুখে যা আসছে তা-ই বলে যাচ্ছি। অনেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়েও মাত্রাতিরিক্ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা সত্যিই অশোভনীয়। কিছুদিন যাবৎ সেনাবাহিনী নিয়ে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের কিছু বিকৃত রুচির বক্তব্য সবার দৃষ্টি কেড়েছে। একটি দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে একজন ব্যক্তি আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনী নিয়ে এমন অরুচিকর বক্তব্য দেন কি করে…..? সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ‘চাকর-বাকর’-এর সঙ্গে তুলনা করে তিনি ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছেন। কিছু কিছু ব্যক্তি মনে করেন বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলে সহজেই জনপ্রিয় হওয়া যায়। হয়েও যাচ্ছেন অনেকে।
গত ১৭ বছর কিছু কিছু সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য বড় বড় পদে বসিয়ে রেখেছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, জানা গেছে স্বয়ং শেখ হাসিনাই দুর্নীতির কাজে তাদের ব্যবহার করেছেন।সেনাবাহিনীতে গুটি কয়েক দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারতা রয়েছে তাই বলে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এভাবে গালমন্দ করা যায়…?
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম।সেনাবাহিনী ছাত্রদের পাশে থাকায় জুলাই আন্দোলন সফল হয়েছে। তায় কথা বলার আগে আমাদের সৌজন্যবোধ বজায় রেখে কথা বলা উচিত। শুধু সেনাবাহিনী বলে নয়, যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলার সময়েও ন্যূনতম সৌজন্য বজায় রাখা উচিত। সুতরাং ক্যান্টনমেন্ট দখলের মত ভয়ানক দুঃসাহস ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে চাকরবাকর সম্বোধন করেন এবং ক্যান্টনমেন্ট দখলের হুমকি প্রদান করেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ। যা নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তারই প্রতিবাদে আজ সংবাদ সম্মেলন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
আরো পড়ুন→২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় জানিয়ে হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রা) আদর্শ মাদরাসার দোয়া মাহফিল