বান্দরবান থানচিতে সাঙ্গু নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টার পর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২০ জুন শনিবার দুপুরে সাঙ্গু নদীতে নিখেঁাজ ছাত্রের লাশ বহু খোঁজা খুঁজি পর ছাত্রটি যেখানে ডুবে যেতে দেখা গিয়েছিল সেখান থেকেই নিখোঁজ ছাত্রের লাশ পাওয়া গেছে।
লাশ উদ্ধার করা দলের নেতৃত্বদানকারী বাসিল মরো পাড়া কারবারী বানার্ড ত্রিপুরা বলেন, গতকাল দুপুরে অজয় ত্রিপুরা মাছ ধরতে গিয়ে সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা একদল উদ্ধারকাজে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। গতকাল নদীর পানি বেশী থাকায় বহুবার লাশ খোঁজা খুঁজি করার পরও লাশ পাওয়া যায়নি। কিন্তু আজ নদীতে পানি কমে যাওয়ায় দুপুরে একই জায়গায় নিখোঁজ ছাত্রের লাশটি উদ্ধার করতে পেরেছি।
এ নিয়ে ফাদার হরি মাকারিও দাশ সিএসসি বলেন, অজয় ত্রিপুরা আমার কাছে থেকে পড়া লেখা করছিলেন, তাই তাঁর নিখেঁাজ হওয়ার ঘটনা আমার কাছে খুবই কষ্টকরছিল। ঘটনার বিষয়ে থানায় অবগত করার পর গতকাল দুপুরের পর লাশ উদ্ধারের কাজে ব্যস্ততার কারনে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অজয় ত্রিপুরা বাবা সুমন ত্রিপুরা বলেন, আমার ছেলে সাঙ্গু নদীতে নিখেঁাজ হওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলাম। আমার ছেলে সাঙ্গু নদীতে ডুবে নিখেঁাজ হয়ে মৃত্যু বরণ করার পিছনে কারো প্রতি আমার কোন সন্দেহ বা অভিযোগ নেই। আমার ছেলে অপমৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, এটা একটা দূর্ঘটনা মাত্র। অন্তত্য লাশটুকু পেয়েছি এইটায় ভগবানকে কৃজ্ঞতা জানাই।
এ নিয়ে থানচি থানা ঘটনার দায়িত্ব প্রাপ্ত সাব-ইনস্পেক্টর মোশাররফ বলেন, আমরা নিখেঁাজ হওয়া ছাত্রের লাশ উদ্ধার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উদ্ধাকৃত ছাত্রের লাশ আমরা আইলমারা পাড়া শশ্নানের এলাকা সাঙ্গু নদীর পাড়ে দেখতে পায়। নিখেঁাজের সময় প্রত্যক্ষদশর্ী, মৃত লাশের অবিভাবক, কারবারী ও এলাকার মেম্বারগনসহ শতাধিক মানুুষের উপস্থিতিতে তদন্ত করার সময় মৃত নিখেঁাজ ছাত্রের পিতা সুমন ত্রিপুরা এই ঘটনার জন্য কারো প্রতি সন্দেহ বা অভিযোগ না করায় কাকেও দোষী করা যায় নাই। তাই মৃত ছাত্রের লাশটি আদিবাসীদের রীতি মতে সৎকাজ করার জন্য দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, গতকাল দুপুরে অজয় ত্রিপুরা(১৫) নবম শ্রেনির ছাত্র সাঙ্গু নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে নদী এপার হতে ওপার সাঁটার কেটে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন।