বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর সোনালী ব্যাংক শাখায় দুই কর্মকর্তাসহ এক জনপ্রতিনিধির কন্যার করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে । ২০জুন শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো, ছলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা, আবু জাফর মো. সেলিম জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলা শাখার সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার জ্বর ও সর্দি কাশির থাকায় করোনা উপসর্গ হিসেবে নমুনা (স্যাম্পল) সংগ্রহ করা হয় গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তাঁর কন্যার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৯ জুন। ২০ জুন শনিবার ওই চার জনের স্যাম্পল রিপোর্টের মধ্যে তিন জনের পজেটিভ আর একজনের নেগেটিভ আসে। পজেটিভ তিন জনের মধ্যে দুই জন হলো সোনালী কর্মকর্তা সোবায়েত হোসেন ও থোয়াইহ্লাচিং মার্মা আর অপরজন হলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের কন্যা তাকিয়া। এ নিয়ে উপজেলায় বর্তমানে ১৫জনে দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১১জন হাসপাতালের আইসোলেশনে ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়ার পর ক্রমান্বয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানান, এই যাবত মোট ৩৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহের মধ্যে মোট ১৫ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও বাকী ৩১৯ জনের রিপোর্টস নেগেটিভ আসে। পজেটিভ পাওয়া রোগীর মধ্য হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি হয়ে ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে ক্রমান্বয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১১ জন পজেটিভ শনাক্ত রোগী বাকী ৪ জন রোগীকে হোম কোয়ারেন্টেইন আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে ওই ৪ জনের নমুনা নেওয়ার পর থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়াতে তারা এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি জানান, এই পর্যন্ত ক্রমন্বয়ে ১৫ জন করোনা পজেটিভ সনাক্ত হওয়ার পর নিয়মিত চিকিৎসা পাওয়ার পর ১১ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন বাকী ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই ৪ জনের মধ্যে দুই সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তার পজেটিভ রিপোর্ট আসাতে ব্যাংক লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের এই দুই কর্মকর্তার সংস্পর্শের সকল কর্মকর্তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তবে এরা ৩ জনই সুস্থ আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।