কক্সবাজার সদরের ১নং ইসলামপুর ইউনিয়ন।যা বর্তমানে ঈদগাহের নব গঠিত থানার আওতাধীন। দীর্ঘ ২৮/২৯ বছর পূর্বে পোকখালী ইউনিয়ন থেকে পৃথক হয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নে রুপান্তরিত হলেও নেই তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ছোঁয়া।বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের দেয়া উন্নয়ন ধাপে ধাপে তরান্বিত হলেও
বাংলাদেশের একমাত্র শিল্প নগরী তার বিপরীত। এমনটিই অভিযোগ ইসলামপুর ৯ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত প্রায় ২ হাজার পরিবারের। তাছাড়া এখানে রয়েছে প্রায় ৩শ কোমলমতি ছেলে মেয়েদের জন্য একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরকার যায় আর আসে।প্রতি ৫ বছর পরপর স্হানীয় নির্বাচনও হয়।যখনি নির্বাচন আসে তখন জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় প্রচারণার সময় ওয়াদা দিয়েও যান।স্হানীয় এলাকাবাসীরা তাদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিতও করেন।কিন্তুু বিশ্বাসের কোন সুরাহা দেয়নি কেউ কোনদিন।তাদের বিশ্বাস যেন গুড়াবালিতেই থেমে থাকে।পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত আর দেখা মেলেনা তাদের।এভাবে দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশী সময়ধরে সংস্কারের অভাবে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে ৯ নং ওয়ার্ডের ২ হাজার পরিবারে প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি।বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর রাস্তার দুই পাশের চিংড়ী মাছের প্রজেক্ট এর পানিতে যেই কোন সময় বিলিয়ে যেতে পারে সড়কটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ স্হানীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যানরা নির্বাচিত হলে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে সংস্কারের কথা দিয়ে সেই মরহুম নুরুর হকের আমল থেকে আজ অবধি কেউ তাদের কথা রাখেননি।
ইসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মাষ্টার রহিমুর রেজা বলেন,গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এম পি মহোদয়ও রাস্তাটি সংস্কারের কথা দিয়েছিলেন।এবং তিনি তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজ প্রচেষ্টায় ও কিছু সচেতন যুবকদের সহায়তায় এম পি মহোদয়ের কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়ে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এল জিডি ভবন) প্রধান প্রকৌশলী বরাবর গত ২০১৮/১৯ অর্থ বছরের বাজেট বরাদ্দ হতে রাস্তা সংস্কারের জন্য ২১/০৪/১৯ ইং একখানা আবেদন করি।যে ডিওতে ৩ টি প্রকল্পের নাম উল্লেখ রয়েছে। যার মধ্যে খাঁনঘোনা সাইক্লোন সেন্টার প্রকল্পটি অন্যতম। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় যা এখনো বাস্তবায়ন না হাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে জনবহুল এলাকাবাসী।
অত্র ওয়ার্ডের সাবেক আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল বশর জানান,দীর্ঘদিন ধরে কমবেশি সকল জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনের সময় কথা দিতে দেখেছি।যুবক বয়স থেকে তা দেখে আসতেছি।বয়স এখন ৫৫ ছুঁই ছুঁই।জানিনা আমরা না পেলেও আমাদের ছেলেমেয়েরা তার সুফল পায় কিনা।এই বিষয়ে স্হানীয় ইসলামপুরের চেয়ারম্যান আবুল কালামের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এইগুলো অনেক বড় প্রকল্প। যা স্হানীয় পরিষদ কতৃর্ক বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।তিনি বলেন,আমার জানামতে স্হানীয় সংসদসদস্য রাস্তাটি সংস্কারের জন্য নিজ প্রকল্প হিসাবে (এল জি ডি)কতৃর্ক আবেদন জমা দিয়েছেন।আমি শুধু ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দুই পাশের গাইর্ড ওয়াল নির্মাণ করব।বিপুল জনগোষ্ঠীর বসবাস ও তাদের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর সহ জনপ্রতিনিধিরা রাস্তটি সংস্কারে এগিয়ে না আসলে এই বর্ষা মৌসুমেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাবে বিপুল মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তটি।এমনটিই অভিমত সচেতন মহল সহ খাঁনঘোনাবাসির।