শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা: রাজনীতিতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে: ড. হামিদুর রহমান আজাদ থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চিংমা খেয়াং হত্যাকান্ডের সঠিক বিচারের দাবীতে বান্দরবানে বিক্ষোভ বান্দরবানে পাহাড় থেকে খেয়াং নারীর লাশ উদ্ধার নাইক্ষ্যংছড়ি’র ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবক আহত।
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

পেঁয়াজ বাজারে আগুন  দিশেহারা ক্রেতা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩৭২৫ জন নিউজটি পড়েছেন
লাল ও কালচে রঙের বড় আকারের এই পেঁয়াজটির ওজন ৩৫০ গ্রাম, প্রতিটির দাম ৭০ টাকা

দাম বাড়ার পর একটি পেঁয়াজের দাম কত হতে পারে? ১০ টাকা। ২০ টাকা। না, আপনার ধারণা ঠিক নয়। যাঁরা নিয়মিত বাজার-সদাই করেন, তাঁরা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারেন। বাজারে বড় আকারের একটি পেঁয়াজের দাম এখন ৪০ থেকে ৭০ টাকা।

বড় আকারের এই পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে চীন ও মিসর থেকে। লাল বা কালচে লাল রঙের একেকটি পেঁয়াজের ওজন ২০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত। কেজিপ্রতি ২০০ টাকা দাম হিসাব করে বড় আকারের একটি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। এ রকম বড় আকারের তিন থেকে পাঁচটি পেঁয়াজের ওজন মিলিয়ে এক কেজি হয়।

চট্টগ্রামের দোকানিদের তথ্যমতে, প্রতি বস্তায় ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের বড় আকারের কিছু পেঁয়াজ থাকে। তবে বেশির ভাগই ২০০ থেকে ২৮০ গ্রাম ওজনের।

বাজারে এখন মিয়ানমারের মাঝারি আকারের যেসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর একেকটির ওজন ২০ থেকে ২২ গ্রাম। এ হিসাবে মিয়ানমারের ১০ থেকে ১৬টি পেঁয়াজের সমান ওজন চীন বা মিসরের একটি পেঁয়াজের। ভারত রপ্তানি বন্ধের আগে দেশে মাঝারি আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ এবং ছোট আকারের দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল বাজারে।

লাল রং ছাড়াও হলুদ রঙের গোলাকার পেঁয়াজ আসছে চীন থেকে। একেকটি পেঁয়াজের ওজন ৭০ থেকে ১২০ গ্রাম। এ হিসাবে ১২-১৪টি পেঁয়াজে এক কেজি হয়। এ ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ কম।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারত রপ্তানি বন্ধের পর গত দেড় মাসে বন্দর দিয়ে মিসর থেকে ৩ হাজার ৩০৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। চীন থেকে আমদানি হয়েছে ৮৭৬ টন। মিসর থেকে আমদানি হওয়া বড় আকারের পেঁয়াজ একটু চ্যাপ্টা। চীনের পেঁয়াজ আকারে লম্বা।
পেঁয়াপেঁয়াজ খালাসের আগে পোকামাকড় ও মান পরীক্ষা করে উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল প্রথম আলোকে বলেন, চীন ও মিসর থেকে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তা আকারে বড়। তবে মান ভালো। এই দুই দেশ থেকে বড় আকারের পেঁয়াজই বেশি আসছে। পেঁয়াজ আমদানিতে বিকল্প দেশের সংখ্যা যত বাড়ছে, বৈচিত্র্যও তত বাড়ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিসর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে ১৯টি প্রতিষ্ঠান। এসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঢাকার তাশো এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা অংশীদার সেলিমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, একেক দেশের পেঁয়াজ দেখতে একেক রকম। মিসর ও চীনে বড় আকারের পেঁয়াজ যেমন আছে, তেমনি মাঝারি আকারের পেঁয়াজও উৎপাদন হয়।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, মিসর ও চীনের বড় আকারের পেঁয়াজের সরবরাহ এখনো কম। আড়তে সব দোকানে নেই বড় আকারের পেঁয়াজ।

এদিকে কুমিল্লা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীউল হক জানান, কুমিল্লায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। নগরের রাজগঞ্জ বাজারের রতন স্টোরে তিনটি পেঁয়াজের ওজন হয়েছে ১ হাজার ২০০ গ্রাম। ওই হিসাবে একটি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৭২ টাকা।

দোকানের স্বত্বাধিকারী রতন মজুমদার বলেন, ‘বড় আকারের পেঁয়াজগুলো মিসর থেকে এসেছে। একেকটির ওজন প্রায় আধা কেজির মতো। বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, দুই দিন আগে বড় আকারের ওই পেঁয়াজ একই দোকানে কেজিপ্রতি ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। দুই দিনের ব্যবধানে একলাফেই কেজিতে ৭০ টাকা বেড়েছে। এদিকে আশপাশের অন্য দোকানে ২২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!