রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা: রাজনীতিতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে: ড. হামিদুর রহমান আজাদ থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চিংমা খেয়াং হত্যাকান্ডের সঠিক বিচারের দাবীতে বান্দরবানে বিক্ষোভ বান্দরবানে পাহাড় থেকে খেয়াং নারীর লাশ উদ্ধার নাইক্ষ্যংছড়ি’র ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবক আহত।
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

বিশ কোটি বর্গফুট চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮
  • ৩৭৮১ জন নিউজটি পড়েছেন

চলতি বছর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৩৩ কোটি বর্গফুট চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের আনাচে-কানাচে জবাই হওয়া বিভিন্ন গবাদি পশু থেকে এ চামড়া সংগ্রহ করা হবে।

এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বা প্রায় ২০ কোটি বর্গফুট কোরবানির পশু থেকে পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ জন্য ব্যাংক ঋণ পেতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এছাড়া চামড়া সরবরাহকারীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের পাশাপাশি সংগৃহীত চামড়া সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় লবণ সংগ্রহেও তৎপর তারা।

চামড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়িক সংগঠন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট বড় তিনটি সংগঠন হচ্ছে- বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএফইএ), বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) এবং বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ)। মূলত এরাই চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করে আসছে।

এ তিনটি সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে গরু, মহিষ, খাসি, ছাগল ও ভেড়া থেকে ২০১৭ সালে ৩১ কোটি ৫০ লাখ বর্গফুট চামড়া পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ১৯ কোটি বর্গফুট পাওয়া গেছে কোরবানির মৌসুমে। এবার গত বছর থেকে ৫-৭ শতাংশ বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হবে। এ হিসাবে চলতি কোরবানির মৌসুমে প্রায় ২০ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৬ সালে ৩০ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া গেছে। ২০১৫ সালে চামড়া পাওয়া গেছে ২৮ কোটি ৫০ লাখ বর্গফুট। এর মধ্যে কোরবানির মৌসুমে মিলেছে ১৭ কোটি ১০ লাখ বর্গফুট। ২০১৪ সালে চামড়া মিলেছে ২৭ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট। এরমধ্যে কোরবানিতে পাওয়া গেছে ১৬ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট।

এদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল-ভেড়া ৭১ লাখ। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ২২ হাজার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার ৬০ শতাংশই পাওয়া যায় কোরবানির ঈদের সময়। এর মধ্যে গরুর চামড়া প্রায় ৬৫ শতাংশ, মহিষের চামড়া ২ শতাংশ, খাসির চামড়া ৩২ শতাংশ এবং ভেড়ার চামড়া ১ শতাংশ।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, বিশ্বে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার এখন ২১৫ বিলিয়ন ডলারের। যেখানে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব মাত্র শতকরা ০.৫ ভাগ।

জানা গেছে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কোরবানির পশুর সব চামড়া দেশে থাকে না। বেশি দামে ওই চামড়া কিনে নেয় কিছু দালাল, যারা ওই চামড়া ভারতে পাচার করে আরও বেশি দামে বিক্রি করে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এবারও যদি ন্যায্য দাম না মেলে তাহলে চামড়া পাচার ঠেকানো যাবে না। কারণ, ভারতে এখন চামড়ার সংকট। গরু নিধনের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সোচ্চার থাকায় ভারতে গরু জবাই অনেক কমে গেছে। ফলে তাদের চামড়ার সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। অনেক ট্যানারি ও চামড়াজাত পণ্যের কারখানা প্রায় বন্ধের উপক্রম। ভারতে চামড়ার দামও বেশি।

বিএফএলএফইএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন যুগান্তরকে বলেন, এটা ঠিক গত বছর একই ধরনের সমস্যায় ভারতে পাচার হওয়ার পাশাপাশি সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে কোরবানির মৌসুমের প্রায় ২৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছিল।

তবে এ বছর পরিস্থিতি বদলেছে। সাভার পরিকল্পিত বিসিক চামড়া শিল্প নগরীতে সব ট্যানারি স্থানান্তর হয়েছে। ফলে এ বছর রাজধানীর পোস্তা, আমিনবাজার ও সাভার ট্যানারি শিল্পের নিজস্ব গুদামে চামড়া সংরক্ষণ ও মজুদ করার সুযোগ রয়েছে। যদি লবণ নিয়ে জটিলতা না হয় তবে এবার চামড়া খুব একটা নষ্ট হবে না।

ঢাকা জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম যুগান্তরকে বলেন, ট্যানারি শিল্প রাজধানী থেকে সরিয়ে নেয়ার পর কোরবানির কাঁচা চামড়া কোথায়, কীভাবে বেচাকেনা ও সংরক্ষণ করা হবে তা নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম।

এ বছর আশা করি সেটা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি ঢাকা জেলার ভেতরে কাঁচা ও লবণযুক্ত চামড়া পরিবহনের অবাধ সুযোগ থাকে, তাহলে চামড়ার পচন রোধ করা সম্ভব হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!