নাইক্ষ্যংছড়িতে এবার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক। করোনা শনাক্ত হওয়া শিক্ষকের নাম মোঃ ইউনুস, বয়স (৫৮) বছর। তার বাড়ী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার পুরাতন বাসষ্টেশন এলাকার ইসলামপুর গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনা উপসর্গের কথা জানতে পেরে চিকিৎসক নমুনা সংগ্রহ করেন। শনিবার (৩০ মে ) রাত ১০ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাফর মোঃ সেলিম মাষ্টার ইউনুসের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার খবর নিশ্চিত করেছেন এই প্রতিবেদকে।
তিনি আরো জানান, গত ২৫ মে ঐ শিক্ষকের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিলো।গত শনিবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ৯টায় ল্যাব থেকে ফোনে ঐ সহকারি শিক্ষকের নমুনার ফলাফল পজেটিভ বলে নিশ্চিত করা হয়।
খবর পেয়ে দ্রুত উপজেলা প্রশাসন তার পরিবার ও সংস্পর্শ আসা ব্যক্তিদেরকে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার জন্য বলেছেন।
আজ ৩১ মে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ শিক্ষককে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের আইসোলেশনে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে এ প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ায় পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান,আজ ৩১ মে রবিবার সকালে প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়ীসহ যাতায়াত রাস্তার আশপাশে সংস্পর্শ ব্যক্তিদের বাড়ি-ঘর লকডাউন করা হয়েছে। তিনি এখনো মোটামুটি সুষ্ঠু আছে অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষক মো: ইউনুসের ছেলে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল আলম মুমু জানান, তার বাবা অসুুস্থ হওয়ার পর থেকে তাদের পুরো পরিবার নিজ বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টেইনে ছিলেন এখনো আছেন। তার বাবা অনেকটা সুস্থের পথে তিনি বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের কম্বোনিয়া গ্রামের ৪ জনসহ মোট ৮জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় করোনা সনাক্ত হওয়ার পর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে ঘরে ফিরেছেন।