1. soccergames24@gmail.com : babul khan : babul khan
  2. 1234567889@gmail.com : Khaled Mahabub Khan Arafat : Khaled Mahabub Khan Arafat
  3. shebabslinfg@gmail.com : Babul Khan : Babul Khan
  4. mhkbkhan@gmail.com : Mahabub Hassan Khan : Mahabub Hassan Khan
কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি বর্তমান সাংবাদিকতা পেশা - paharkantho
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নাইক্ষ্যংছড়িতে সবজি ব্যাবসায়ীর লাশ মিললো খালে। নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ঘুমধুমে যুব সমাজের উদ্যোগে রাস্তা মেরামত ঘুমধুম খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের পঁচনধরা মরদেহ উদ্ধার বান্দরবানের থানচি-রুমা পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি বর্তমান সাংবাদিকতা পেশা

পাহাড় কন্ঠ ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০
  • ৩৪২৬ জন নিউজটি পড়েছেন

জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে কঠিন সময় পার করছে সব পেশার মানুষজন। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকে হার মানিয়ে দিয়েছে কোভিড -১৯ নামক ছোট্ট এই ভাইরাসটি। সারা পৃথিবী একরকম লকডাউন শব্দটির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। যুদ্ধবাজ দেশগুলোকেও নিমিষেই নিস্তব নিরবতা পালন করতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বময় আজ বিশ্বমাতার কোলে ঢলে পড়েছে। মানবতা নামক শব্দটি কারো বিবেক নাড়া দিয়েছে আবার কারো বিবেক মুড়িয়ে নিয়েছে। আজ অনেক অর্থ বিত্তশালীদের কাছে বিবেক নামক শব্দটি চিড়িয়াখানা খাঁচার ভিতর বসবাস করছে, সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও একটি পেশার মানুষ সবসময় জাতির পাশে দাঁড়িয়ে থেকেছে আর সেটাই হলো মিডিয়া সমাজ। দেশ, সমাজ, জাতির স্বার্থে সাংবাদিক পিঁছু হটেননি সবসময় অগ্রগামী ভূমিকা রেখে চলেছে। আজও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে জাতির দারপ্রান্তে খবর পৌঁছে দিচ্ছে সাংবাদিক ভাইয়েরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে তারপরও থেমে থাকেনি একজন সাংবাদিকের পেশাদারিত্ব।

দেশ ও সমাজের ঘুমিয়ে থাকা মানুষগুলোকে সচেতনতা সৃষ্টি অন্ধকার থেকে সূর্যের মতো আলোয় আলোকিত গড়ে তুলতে ছুটে চলেছে কলম সৈনিকরা। থেমে থাকেনি জীবন যুদ্ধ, কঠিন সময়ে ইতিবাচক ভূমিকা হিমালয়ের চূড়ায়। তবে আজ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনেক বিবেকবানরাই এগিয়ে এসেছে, আবার নেতারাও এগিয়ে এসেছে সাথে রয়েছে বড় বড় ক্যামেরার ঝাঁক। কেউ কেউ সত্যিকার ভাবেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আবার কেউ কেউ লোক দেখানো ফটোসেশন আর পত্রিকা সংবাদ প্রচারে এসেছেন। যারা ফটোসেশন আর পত্রিকায় নিজেকে প্রচার করতেই সাংবাদিকদের ডেকেছেন অথবা প্রেস বিজ্ঞপ্তি পত্রিকার ইমেইলে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা একবারও মনের অজান্তেই সাংবাদিকের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন কি? এখন পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মী নেত্রীর পক্ষ থেকে বিশজন সাংবাদিকের বাসায় উপহার সামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেরকম তথ্য পাওয়া যায়নি। বর্তমান সময়টি গরিব ও মধ্যবিত্তদের দূর সময় যাচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে সাংবাদিকরাও চোখ লজ্জায় বাস্তবতার মুখামুখিতে আজ দাঁড়িয়েছে। তৃনমূল পর্যায়ের সাংবাদিকরাতো আরও নিমজ্জিত ভাষায় ডুকরে কাঁদছে। কে কার কথা শুনে, অসহায় সাংবাদিকদের দু’টি কথা শুনার মুরোদ নেই কারো।পত্রিকার মালিকরাতো একটি স্বার্থনিষি মহল তৈরি করে তৃনমূল সাংবাদিকদের জিম্মি করে রেখেছে। ইচ্ছে মতো পরিচালিত করছে সাংবাদিকদের মাঝখানে ফায়দা লুটিয়ে নিচ্ছে সাংবাদিক নামধারী নেতারা।সংগঠনের দোহায় দিয়ে রাজনৈতিক আবাল মার্কা নেতাদের কাছ থেকে এবং বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে নিচ্ছেন। বঞ্চিত হচ্ছে তৃনমূল সাংবাদিকরা বঞ্চিত হচ্ছে মূলধারার সাংবাদিকতার পেশার সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকরা নাকি জাতির বিবেক, জাতির দর্পন কিন্তু আজ সাংবাদিকদের মাঝে অনঐক্যতা বেশি দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক গ্যারজালে দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে একাংশের নামকরণ করেছে যা আজ সাংবাদিক পেশাটাকে কলঙ্কিত রূপরেখা তৈরির মূল হোতা হচ্ছে ঐসব স্বার্থবাদী নেতারা।জাতির কাছে লজ্জিত সাংবাদিক পেশাটা।পূর্বে অনেক দূর সময় গিয়েছে সাংবাদিকদের কিন্তু ততটা ভেঙ্গে পরেনি তৃনমূল সাংবাদিকরাও, কিন্তু সারা পৃথিবী যখন কোভিড -১৯ মুখোমুখিতে দাঁড়িয়েও অসহায়ত্ব হয়ে পড়েছে সেখানে সিঙ্গাপুর, কানাডার মতো ডিজিটালের স্লোগানের মধ্য আয়ের বাংলাদেশে কিইবা করার আছে মিডিয়া কর্মীদের। যখন জাতির দূর সময় জাতির ক্রান্তিলগ্নে দৌড়ঝাঁপ চলছে ঠিক সেই মূহুর্তে কিছু সংবাদ পত্রের মালিক তাদের আখের গুছিয়ে পত্রিকা বন্ধ করে দিচ্ছে নথবা সাংবাদিক ছাঁটাই চলছে, আবার কয়েক পত্রিকার সম্পাদক -প্রকাশক সুকৌশলে বলে দিচ্ছে ৩-৪ মাস বেতন দিতে পারবেনা যার ইচ্ছে হয় থাকো নথবা যেখানে ভালো লাগে সেখানেই যেতে পারো আবার ঐসব সম্পাদকরা টিভি চ্যানেলের টকশোতে গিয়ে প্রণোদনার কথা বলে পত্রিকার হকার বাঁচানোর জন্য তাদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের সহযোগিতা চায়।মুখোশের আড়ালে ওদের চাটুকারিতা দেখতে খুব ভালোই লাগে।সরকারও তাদের সাথে বাহবাও দিতে মতের দ্বিমত করেনা, তার মানে হচ্ছে সরকারও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলো পত্রিকাকে।সত্যি কথা বলতে, ডিএফপি তালিকা ভুক্ত ১-২০ সিরিয়ালে যেসব পত্রিকা আছে ঐসব পত্রিকার মালিক ও সম্পাদকরা কতোজন সাংবাদিককে বেতন দিচ্ছে, তার মধ্যে ওয়েজ বোর্ড কতোজন পাচ্ছেন সেটারও দেখার বিষয়। (২০ সিরিয়ালের পরের পত্রিকা গুলোর কার্যকলাপ নাই বললাম) জেলা উপজেলা পর্যায়ে যাদেরকে মফস্বল সাংবাদিক বলে থাকি তারাতো বেতন পাবে দূরের কথা সম্মানিও দেওয়া হয়না বিজ্ঞাপন কমিশনে চলতে হয়।অনেকে মনে করেন সাংবাদিক মানেই বিশাল কিছু কিন্তু লজ্জাকর বিষয়। এই দূর সময় যখন সরকার গরিব মধ্যবিত্তসহ ত্রাণ পাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী প্রথম ধাপে ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা পাশ করিয়ে দিলেন সেখানে সাংবাদিক নামক শব্দটি হারিয়ে গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) যখন তোলপাড় দ্বিতীয় ধাপে ৭২ থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রণোদনা পাশ করিয়ে দিলেন সেখানে বললেন সবাই পাবে , সাংবাদিকরাও পাবে ঠিক তখনি শুরু হয়ে গেলো সাংবাদিক নামক নেতাদের রাজনীতি। বর্তমান সরকারের ছায়া পন্তি একাংশের তালিকা তৈরি হয়ে গেলো। ১৯ এপ্রিল ২০২০ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রণোদনার বিষয় চিঠি ইস্যু করে ২০ এপ্রিল একাংশের নেতারা তথ্যমন্ত্রীর কাছে ৪১৮১ জন সংগঠনের, এবং সংগঠনের বাহিরে প্রতি জেলা থেকে ৩০ জন করে ৫৬ জেলার ১৫৯০ জন সর্বমোট ৫৭৭১ জনের তালিকা হাতে ধরিয়ে দিলেন। বিষয়টি হচ্ছে এমন, এ তালিকার বাহিরে আর কোনো সাংবাদিক নাই, আমার প্রশ্ন হচ্ছে সাংবাদিক আগে নাকি সংগঠন আগে। আবারও যখন এ তালিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) তোলপাড় তখনি ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ পূর্বের ইসুকৃত চিঠি প্রত্যাহর করে নেয়। একজন সাংবাদিকের পরিচয় ঘটে পত্রিকা দিয়ে তার পেশাদারিত্ব কর্মস্থল পত্রিকা অফিস সংগঠন নয় পত্রিকার পরিচয় পত্র দিয়ে সংগঠনের সদস্য হওয়া।সংগঠন, ক্লাব এটা হচ্ছে ঐক্য ও বিনোদনের জায়গা, সাংবাদিকদের রাজনীতি করার জায়গা নয়।কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে সংগঠনকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধ ফায়দা লুটিয়ে নিচ্ছে ( এখানে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ)।

আবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের কিছু সাংবাদিক আছেন তারা প্রেসক্লাব বা ইউনিয়নের সদস্য না হলে অন্যকে মূলধারার সাংবাদিক বলেননা নিজেকেই মূলধারার সাংবাদিক হিসেবে জাহির করেন।তাদের মধ্যে অনেকে কোনো পত্র পত্রিকায় কর্মরত নেই বাহিরে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত তাহলে তারা কিভাবে নিজেকে মূলধারার সাংবাদিক দাবী করেন।আবারও আমার প্রশ্ন আগে সাংবাদিক নাকি আগে সংগঠন। যাই হোক সংগঠন যে তালিকা জমা দিয়েছেন প্রণোদনা পাওয়ার জন্য সেখানে দেখা যাচ্ছে তৃনমূল মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করে যাচ্ছে তারা সাংবাদিক নয় একাংশের ইউনিয়নের সদস্যরাই সাংবাদিক। তৃনমূলের সাংবাদিকরা সবসময় বৈষম্যর স্বীকার। যেখানে দেশ জাতির ক্রান্তিলগ্নে অতিবাহিত হচ্ছে পুরো জাতি আজ দূর সময় দিন পার করছে সেখানে তৃনমূল সাংবাদিকরাও ভালো নেই, কঠিন বাস্তবতায় অসহায়ত্ব হয়ে পরেছে। এই দূর্সময়ে বৈষম্য তৈরি না করে পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও গ্রহণযোগ্য অনলাইন পোর্টালে চলমান কর্মরত সাংবাদিক এবং প্রকৃত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সাংবাদিক নেতা ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

লেখক: কামাল পারভেজঃ
চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান
দৈনিক আমাদের নতুন সময়

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
jp-354c8c03daee477a362a