আগামী ১০ মে থেকে দেশব্যাপী ঈদ উপলক্ষ্যে শপিং মল ও দোকান সীমিত পরিসরে খোলার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত দিলেও, শপিং মল সহ দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বান্দরবান ব্যবসায়ী সমিতি।
শুক্রবার (৮মে) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেনের সভাপতিত্ব জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বান্দরবান বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যেও সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে ব্যবসায়ীরা মার্কেট,কাপড়,কসমেটিকস ও জুতার দোকান খুলতে পারবে। এতে সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধির লঙ্ঘন হয় তাহলে ভ্রাম্যমান আদালতসহ প্রশাসন কঠিন ব্যবস্থা নিবে।
এসময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃৃন্দ বলেন,লকডাউনের কারনে গত এক মাস ধরে ব্যবসা প্রতিষ্টান গুলো বন্ধ আছে,সামনে মুসলমানদের পবিত্র ঈদ,সকল কিছু বিবেচনা করলে নারী,পুরুষ ও শিশুসহ সকল বয়সের মানুষের মাঝে কাপড়,জুতাসহ ব্যবহার্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
দির্ঘ দিন পর সীমিত পরিসরে দোকান খোলা পেয়ে মানুষের ভিড়ভাট্টা বাড়বেই। সরকারের আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি,নানা বিধি নিষেধ ও আইন কানুন ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের পক্ষে শত ভাগ মেনে চলা সম্ভব হবে না।ব্যবসায়ী’রা বেচা বিক্রি করে পাবেন ৫ হাজার টাকা আর একটি ভুলের কারনে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা গুনতে হবে ১০ হাজার টাকা। একারণে দোকানপাট বন্ধ রাখাই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতা’রা।
একারণে ঈদ উপলক্ষে বান্দরবানে বাজারে ঔষধ,মুদি,মাছমাংস,শাকসবজির দোকান ছাড়া আর কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না।
জেলা প্রশাসনের সাথে অনুষ্টিত বৈঠকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী,মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক বিমল কান্তি দাশ,বান্দরবান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ- সভাপতি নুরুল আলম সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।