জেলার থানচি উপজেলা সদরে বাজার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুরো বাজার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলায় এ যাবৎ কালের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এবার সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার (২৭শে এপ্রিল) ভোর ৫টার পর এই অগ্নিকান্ড ঘটনাটি ঘটে। ঐ সময় অধিকাংশ মানুষের ঘুমের মধ্যে থাকায় কোন রকমে প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের জিনিস পত্রগুলো কোন কিছু বাঁচাবার আগেই পুরো বাজারটি আগুনের জ্বলে সর্বশেষ হয়ে যায়। বাজার টি আগুনে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এখন ব্যবসায়ী’রা সব কিছুই হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে সাংঙ্গু নদীর চরে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,অগ্নিকান্ডে বাজার ছোট বড় ২০০ টি দোকান পুড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানান, এতে অন্তত আনুমানিক ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের সূত্রপাতের সুর্নিদৃষ্ট কারন জানা না গেলেও বাজারের উত্তর পার্শ্বে একটি চা দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কোন আহত ও নিহত ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল, ৩৮বিজিবি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সানবীর হাসান মজুমদার, ১৬ইসিবি মেজর মোহাম্মদুল কিবরিয়া সাঈদ, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা ও ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা অগ্নিকান্ড স্থান( পরিদর্শন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম ও বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্নেল নাহিদুজ্জামান পিএসসি আগুনে পুড়ে যাওয়ার থানচি বাজার পরিদর্শনের করেন।
থানচি বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২০০ পরিবারের জন্য এরই মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০কেজি চাউল, ১টি কম্বল ও ১পেকেট খাবার (খিচুড়ি)বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেয়। বান্দরবান রেড ক্রিসেন্ট এর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোতে সাড়ে ৭ কেজি করে চাল, সুজি, তেল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ ও চিনি বিতরণ করা হবে।