রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা: রাজনীতিতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে: ড. হামিদুর রহমান আজাদ থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চিংমা খেয়াং হত্যাকান্ডের সঠিক বিচারের দাবীতে বান্দরবানে বিক্ষোভ বান্দরবানে পাহাড় থেকে খেয়াং নারীর লাশ উদ্ধার নাইক্ষ্যংছড়ি’র ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবক আহত।
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ

পাহাড় কন্ঠ ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ৩৫৪৪ জন নিউজটি পড়েছেন

আগামী তিন মাস পর প্রতিদিন না খেয়ে মরবে ৩ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে দেড় কোটি মানুষ চরম খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে। বছরের শেষে এ সংখ্যা ২৬ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

গেল বছরের শেষের দিক থেকেই পঙ্গপালের হানায় পৃথিবীর ১০ শতাংশ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে পড়বে বলে হুঁশিয়ার করেছিল জাতিসংঘ। এ বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির গোটা বিশ্ব। লকডাউনের কারণে কয়েক গুণ বেড়েছে খাদ্য সঙ্কট। আগামী দুই তিন মাস পর পৃথিবীতে প্রতিদিন অন্তত ৩ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের।

আফ্রিকার ৬টি দেশে পঙ্গপালের হানায় ২ কোটি মানুষ খাদ্য সঙ্কটে রয়েছেন। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের একশোরও বেশি দেশে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে গোটা পৃথিবীতে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই।

একজন বলেন, এমব্রোজ গেটিস, প্রকল্প পরিচালক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, জাতিসংঘ আমরা পঙ্গপাল নির্মূলে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছি সেগুলো করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া লকডাউনে আটকে আছে। তাই আমরা স্বল্প পরিসরে বিমানের মাধ্যমে কার্যক্রম চালাচ্ছি। তবে, এটি প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তাই এটি বড় ধরনের সংকট তৈরি করবে যার পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।

পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকলেও করোনার কারণে চলমান লকডাউনে সরবরাহ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ।

একজন বলেন, ট্রাক চালক লকডাউনের কারণে কেউ রাস্তায় বের হতে পারছে না। আমরা একটা সময় একটি ট্রিপের জন্য ৫ হাজার নাইজেরিয়ান টাকা খরচ করতাম। এখন ৩৫ হাজার খরচ করতে চাই। কিন্তু তাও সম্ভব হচ্ছে না।

জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, সারাবিশ্বে নতুন করে ৩ কোটি মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। তাদের মধ্যে ২ কোটি মানুষকে সহায়তা করার সুযোগ রয়েছে। আগামী ৩ মাসের মাথায় প্রতিদিন ৩ লাখ মানুষ সারা বিশ্বে খাদ্যের অভাবে মারা যাবেন। এ মৃত্যু করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নয়।

পাকিস্তান, হংকংসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ অনলাইনে খাদ্যপণ্য সরবরাহ শুরু করেছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় পর্যন্ত নয়। অন্যদিকে মধ্যবিত্ত বা স্বল্প আয়ের মানুষের অনলাইনে খাদ্য সংগ্রহ করার সামর্থ্য না থাকায় সংকট কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না মত বিশেষজ্ঞদের।

খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, এই সংকটের সময় আমরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এবং মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বিক্রি অন্তত ৭৭ শতাংশ বাড়াতে চাই। এর জন্য আমরা অনলাইনে বিক্রয় আদেশ গ্রহণ এবং মানুষের দরজায় পণ্য পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!