কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে প্রথম একজন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) আক্রান্ত ব্যক্তি আবু ছিদ্দিক (৬৯)পিতা মৃত মোখলেছুর রহমান বাড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোণার পাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন।
আজ বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ধুমধুমের আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ২৫টি বাড়ি লকডাউন করেছে। লকডাউন করা বাড়িগুলোতে লাল নিশান তুলে দিয়েছেন ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সভাপতি ছৈয়দুল বশর সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
যুবলীগ সভাপতি ছৈয়দুল বশর মুঠোফোনে পাহাড় কন্ঠকে বলেন,উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বাড়ি বাড়ি পাহারা বসিয়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি ইতিমধ্যে কোথায় কোথায় গিয়েছেন,কারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করছেন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া বলেন, বৃহস্পতিবার এই ল্যাবে ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
ল্যাব সূত্র জানায়, ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাসে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। দৈনিক ৯৬ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষায় সক্ষম এই ল্যাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির এক বৃদ্ধের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।