রুমা ও থানচির দূর্গম এলাকায় হেলিকপ্টার যোগ ত্রাণ বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুরোধে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) সার্বিক সহযোগিতা ও তত্বাবধানে “আর্মি এভিয়েশন”-এর একটি বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে করোনা আতঙ্কে “লকডাউনে” থাকা ম্রো সম্প্রদায়ের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এসময় বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারল খন্দকার মোঃ শাহিদুল এমরান এ,এফ,ডব্লিউ,সি,পিএসসি, ৬৯ ব্রিগেডের জি-২ (আই) মেজর মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন পিএসসিসহ পাড়াবাসী উপস্থিত ছিলেন।
থানচির লিকরি,বুলু পাড়া, হেডম্যান পাড়া ও রুমার চিনলক পাড়ার ৩শ ৬০ পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে তিন হাজার ছয়শত প্যাকেট শুকনো খাবার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এসময় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেন,“পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ,শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ সকল প্রকার উনয়নমূলক কর্মকান্ড এবং যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলা সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম সেনাবাহিনীর এই দ্রুত সহযোগীতার ব্যাপারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, “দূর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আমরা ঐ সমস্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারছিলাম না। বিষয়টি বান্দরবান সেনা রিজিয়নকে অবহিতপূর্বক অনুরোধ করার পর তাঁরা দ্রুততম সময়ে হেলিকপ্টারযোগে দূর্গম ঐ এলাকা গুলোতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এইজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারল খন্দকার মোঃ শাহিদুল এমরান বলেন, বান্দরবানের থানচি এবং রুমার দূর্গম এলাকায় ম্রো সম্প্রদায় তাদের এলাকাগুলো স্বেচ্ছায় “লকডাউন” করে দিয়েছে কিন্তু বান্দরবান সিভিল প্রশাসন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ তাদের ত্রাণ সামগ্রী পৌছাতে না পেরে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। তাই আমরা তাদের ত্রাণ পৌঁছানো এবং বিতরণের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি এবং এসব ত্রাণ সামগ্রীগুলো হেলিকপ্টার ব্যবহারের মাধ্যমে দূর্গম এলাকায় বসবাসরত প্রত্যেক পরিবারের মাঝে বিতরণ করছি যাতে করে “লকডাউন” করা এসব এলাকাগুলোতে কোন ধরণের খাদ্য সমস্যা না হয়।ভবিষ্যতে ও এইসকল কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলেও জানান ব্রিগেড কমান্ডার।
দূর্গম এই সকল পাড়ায় ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান পাড়াবাসী।