শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা: রাজনীতিতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে: ড. হামিদুর রহমান আজাদ থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চিংমা খেয়াং হত্যাকান্ডের সঠিক বিচারের দাবীতে বান্দরবানে বিক্ষোভ বান্দরবানে পাহাড় থেকে খেয়াং নারীর লাশ উদ্ধার নাইক্ষ্যংছড়ি’র ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবক আহত।
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

বঙ্গবন্ধু হতাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

পাহাড় কন্ঠ ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০
  • ৩৬৯১ জন নিউজটি পড়েছেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকা ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার (১২এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফাঁসির আগে নিয়মানুযায়ী ওজু ও গোসল করানো হয় মাজেদকে। পরে নিয়ে আসা হয় কারাগার জামে মসজিদের ইমামের সামনে। যখন তাকে তওবা পড়ানো হয়, কান্নায় ভেঙে পড়েন মাজেদ। চিৎকার করে কান্নার এক পর্যায়ে ইমামের হাত ধরে ফেলেন বঙ্গবন্ধু হতাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আবদুল মাজেদ। ইমামের হাত ধরে তিনি চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। এর মাঝেই তাকে তওবা পড়ানো হয়। তওবার সময় যেমন চিৎকার করে কাঁদছিলেন,
ফাঁসি কার্যকরের আগে তাকে ফাঁসিকাষ্ঠে নিয়ে আসার আগে নিশ্চুপ হয়ে যান মাজেদ। এমনকি ফাঁসি কার্যকরের সময়ও চুপ ছিলেন। ফাঁসি কার্যকরের পর তার মরদেহ ৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। সিভিল সার্জন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করার পর মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিচের দরজা থেকে বের করে আনা হয়।উপস্থিত কারা সূত্রে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি গণমাধ্যম কে ঢাকার জেলার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই ফাঁসির বিষয়টি জানতেন মাজেদ। বিকেলে কনডেম সেলের দায়িত্বরত কারারক্ষীদেরকে তার জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন।

কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আবদুল মাজেদেরই প্রথম ফাঁসি হলো, জল্লাদ শাহজাহান, সহকারী মনির, সিরাজসহ ১০ জনের একটি দল আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করেন। জল্লাদ শাহজাহান বঙ্গবন্ধুর অন্য পাঁচ খুনির ফাঁসিও কার্যকর করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত বুধবার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মাজেদ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার তার আবেদন নাকচ করে দেন। ওই দিনই তার মৃত্যু পরোয়ানার ফাইল রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই ফাইল কারা কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হয়েছে। এরপর কারাবিধি ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!