বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার সুয়ালক খালে পরিবেশ ধ্বংস করে পার্শবর্তী সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়ার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর মেম্বার গং এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের অভ্যন্তরে ঢুকে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করে যাচ্ছে এইসিন্ডিকেট,একমাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্শবর্তী সাতকানিয়া উপজেলার ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর সিন্ডিকেট পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করে অবৈধ বালুর ব্যবসা, কাঠ পাচার,পাশাপাশি জুয়ার আড্ডাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুয়ালক ১নম্বর ওয়ার্ড এর সুলতানপুর বাজারের পাশে সুয়ালক খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পার্শবর্তী সাতকানিয়ায় পাচার করছে এই ইউপি এবং বালুর চরের মালিকানা দাবীদার স্থানীয় মো. জাহাঙ্গির, বাজালিয় ইউনিয়নের বড়দোয়ারার মো. হাফেজ ও সোলতান পুরের রবিউল হোসেন নামে চক্রটি।
স্থানীয় মো.জসিম অভিযোগ করে বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউপি সদস্য হলেও সে পার্বত্য জেলায় প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কায়দায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এই বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের সেনাবাহিনীর নবনির্মিত দুই লাইনের সেতুটি ভবিষ্যতে ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজালিয়ার ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর মুঠোফোনে বলেন, আমরা অবৈধভাবে বালু তুলছি না, প্রশাসনের সবাইকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছি।এলাকাটি ওই পাড়ে বান্দরবান হলেও এপাড়ে আমাদের সাতকানিয়া।
২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদ-নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ ছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক-মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।