বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ঘুমধুমে যুব সমাজের উদ্যোগে রাস্তা মেরামত ঘুমধুম খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের পঁচনধরা মরদেহ উদ্ধার বান্দরবানের থানচি-রুমা পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা: রাজনীতিতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে: ড. হামিদুর রহমান আজাদ
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

ঢাবির ডাকসুর সামনে ককটেল বিস্ফোরণের দায় কার

সম্পাদক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩৩৬৯ জন নিউজটি পড়েছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। ২৬ ডিসেম্বর মধুর ক্যান্টিনে প্রথম ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। তবে সেদিন ককটেল বিস্ফোরিত না হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ।

এরপর রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাকসু ভবনের সামনে একসঙ্গে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

পরদিন সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পরপর ২টি ককটেলের বিকট শব্দে কলা ভবনে পরীক্ষারত শিক্ষার্থীরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ওই দিন ককটেল বিস্ফোরণে স্প্লিন্টারের আঘাতে মধুর ক্যান্টিনের এক কর্মচারী আহত হন। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধারে চার দিন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল ।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলো একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। ছাত্রলীগ বলছে ছাত্রদলের নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটে। আবার ছাত্রদল অভিযোগের তীর ছুড়ছেন ছাত্রলীগের দিকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা বিগত কয়েক বছরে নেই।

ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ‘ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ক্ষোভের কারণে নিজেরাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।’

তারা মনে করেন, কয়েকদিন ধরে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর জের ধরে এ ধরনের ঘটনা তারা ঘটাতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রায়ই অনিয়মিত ছাত্র বলে অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরে কোনো ধরনের ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধা হয় এমন কাজ ছাত্রলীগ কখনো করেনি। ছাত্রদলের কেউ নিয়মিত ছাত্র নয়, শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। সেজন্য তারা এ ধরনের কাজ করার চেষ্টা করছে।’

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রদল। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় কারা জড়িত তা বের করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তা নিয়ে ছাত্রলীগ আতঙ্কে আছে। ক্যাম্পাসে তাদের বিতর্কিত করতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যেখানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, সে স্থানে সিসিটিভি রয়েছে। তা দেখে প্রশাসন সনাক্ত করতে পারবে।’

একাধারে এসব বিস্ফোরণ ঘটলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বরং রাজনৈতিক দলীয় কোন্দলের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রতিবারের মতো অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে কুচক্রী মহল এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, মামলা হয়েছে। আমরা যাচাই করে দেখছি কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কিন্তু তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা দলকে অভিযুক্ত করেননি। তবে এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন : মধুর ক্যান্টিনে ককটেল ছুড়ল দুর্বৃত্তরা

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণ করে কেউ রেহাই পাবে না। আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি সর্বদা সজাগ রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আমরা সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিতে পারব।’

২৬ ডিসেম্বরের পর টানা চার দিন ককটেল বিস্ফোরণ হলেও, জড়িতদের ব্যাপারে প্রশাসন কোনো সুরাহা করতে পারেনি। তবে কি প্রশাসন এই ব্যর্থতার দায় নেবে?

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!