বান্দরবানে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সরকারী উন্নয়ন কাজ ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব বিস্তার ফেলছে।
এই অবস্থায় বান্দরবানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বিকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈ হ্লা।
তিনি আরো বলেন-বান্দরবানের দূর্গম পাড়াবাসীদের ডেকে ডেকে চাঁদা চাইছে সন্ত্রাসীরা। এই কারনে সরকারী উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থা চলতে থাকলে উন্নয়ন কাজ থমকে যাবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরো বলেন- সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে জানতে পেরে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনে বিভিন্নজনকে হুমকি দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের চোখ এখন পাহাড়ে, কলমের শক্তি নিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের রুখতে হবে
ইতোপূর্বে বান্দরবানের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছিল, এবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ এই নেতা।
এসময় তিনি আরো বলেন,রুমা, রোয়াংছড়ি, রাজবিলা, কুহালং সহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস, জেএসএস সংস্থারপন্থি, মগ বাহিনীসহ দলছুট অজ্ঞাত কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকার নিরীহ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক হারে চাঁদা আদায় করছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
চাঁদা আদায় ও হুমকিদাতা হিসেবে তিনি জেএসএস, জেএসএস সংস্থারপন্থি, মগবাহিনীসহ দলছুট অজ্ঞাত কয়েকটি বাহিনীর নাম উল্লেখ করেন।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পাইহ্লা অং মারমা বলেন- শান্তিচুক্তি করার পরও চুক্তিকারীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা তাকে মুঠোফোনে হুমকি দিয়েছে দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,বান্দরবান সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মারমা, পৌরসভার কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাবু খয় মার্মা, রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাইহ্লা অং মার্মাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।