বান্দরবানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে,ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুছ জেলা দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের জেল ও ১৭লক্ষ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন সহকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায়,বান্দরবান জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে আপিল শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত পঞ্চাশ হাজার টাকার বন্ডে দুইজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় ১ মাসের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন।
বান্দরবান জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমদাদ উল্লাহ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল শুনানি করা হলে বিজ্ঞ দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালত সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বন্ডে দুইজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩১ডিসেম্বর) সাড়ে দশটায় সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল কুদ্দুছ চেয়ারম্যানকে ফোনে জুডিশিয়াল আদালতে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যাক্তিগত মোবাইল জব্দ করেন। পরে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সামিউল আলমকে নিয়ে থানচি উপজেলায় ইটভাটার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে অভিযান শেষে তাঁরা রাতে জেলা সদরে ফিরে তদন্ত প্রতিবেদন লেখা শেষে, রাত ১টার সময় ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, আব্দুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, শ্রমিকনেতা ও বিএনপিনেতা প্রবীণ ব্যক্তিত্বকে শারীরিক নির্যাতন করার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার প্রতিবাদে বান্দরবানে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা।
এসময় তারা অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লা আল মামুনকে প্রত্যাহারের দাবী করেন এবং দুর্নীতিবাজ বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সামিউল আলমকে অপসারণের দাবি জানান।
পরিবহন ধর্মঘটের ফলে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা। পরে বিয়টি নজরে আসলে স্হায়ী সংসদ ও পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতায় বান্দরবানের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।